রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেছেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রত্যেককের মন-মানসিকতা থাকতে হবে এবং নিজ এলাকায় বাল্যবিবাহ শূন্য কোটায় নিয়ে আসতে পারলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, হেডম্যান এবং কার্বারিদের পুরস্কৃত করা হবে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক কক্ষে গ্রীনহিল সংস্থার সিইএমবি (কমবেটিং আরলি ম্যারেজ ইন বাংলাদেশ) এর আয়োজনে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ বাস্তবায়ন প্রেক্ষিত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, হেডম্যান এবং কার্বারিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে দ্রুত বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হবে।
জুরাছড়ি উপজেলা পারিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, হেডম্যান, কার্বারি, শিক্ষক, তথ্য আপা কর্মকর্তা এবং পাড়াকর্মীদের নিয়ে যদি দল গঠন করে মনিটরিং এর দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিবাহ নিরোধ করা সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সামশু দোহা চৌধুরী সহ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭-২০১৮ সর্ম্পকে ধারণা দেয়া হয় এবং কিভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে বাল্যবিবাহ নিরোধ করা যায় তার প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়। বাল্যবিবাহ নিরোধে জরুরী প্রয়োজনে সরকারের হেল্পলাইন-১০৯,৩৩৩ এবং ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ