আহমেদ সানি, জবি থেকে: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা সমিতির দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া যাবে না।
কোষাধ্যক্ষ আরো বলেন, বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতেই এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। একদল লোক চেয়েছিল বাংলাদেশকে আর ঘুরে দাড়াতে দেয়া যাবে না। এখন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকার বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলে তিনি এগুলো করতে পারেন না। দেশে তার জনপ্রিয়তা নেই। যে জোবরা গ্রামে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে শুরু করেন তারা কি এখনো স্বাবলম্বী হয়েছে? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর যারা রিক্সা চালায় তাদের অধিকাংশই এই জোবরা গ্রামের। ড. মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার পেয়ে কি লাভ হয়েছে তা আমি জানিনা।
তিনি আরো বলেন, দেশে এক ধরনের ইউটিউবাররা আছে কিছু ঘটলেই সরকারের পতন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। অনেকে বিভ্রান্তও হয়। স্বল্প শিক্ষিতরাই এতে বেশি বিভ্রান্ত হয়। কিন্তু এধরনের বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, এবছর শোক দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিমাণ আলোচনা সভা হয়েছে বিগত বছরগুলোতে এত হয়নি। আমাদের সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে কোনো ফাটল বা বিভেদ রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী সকলকে এক হতে বলেছেন। যেকোনো কোনো ধরনের বাঁধা, ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ