Bangal Press
ঢাকাThursday , 31 August 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার বন্ধে খোলা চিঠি বেআইনি’

Link Copied!

শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশি-বিদেশি ব্যক্তির খোলা চিঠিকে বেআইনি ও অযৌক্তিক দাবি করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগের দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ দলের এ অবস্থানের কথা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষে বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন।এ জোটের প্রধান হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ছাড়াও জোটে কয়েকটি বামপন্থি দল যেমন- ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও জাসদ রয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৭০ জনের বেশি বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন। এর সামলোচনা করে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বুধবার এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ১৪ দল নেতারা বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন দ্বারা সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেকোনো বিচারিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার এ ধরনের অপতৎপরতা পবিত্র সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনের আশ্রয় গ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এ অধিকার বাধাগ্রস্ত করে চলমান বিচারিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাপূর্ণ দাবি আদালত অবমাননার শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় ১৪ দল বিশ্বাস করে, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত বা নির্যাতিত কোনো ব্যক্তির ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ রুদ্ধ করার দাবি উত্থাপন করতে পারে না। আর কোনো বিদেশি ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে বিচারাধীন কোনো মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি কেবল বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপই নয়, একই সঙ্গে একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বের ওপরও আঘাত।
১৪ দলের নেতারা বলেন, ড. ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার চলমান রয়েছে। আইনের শাসনের নীতি অনুযায়ী আইনের চোখে সবাই সমান। সে ক্ষেত্রে কারও রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয় বিবেচ্য বিষয় নয়। কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। ফৌজদারি আইন দেশের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই উল্লেখ করে নেতারা বলেন, নোবেল পুরস্কার পেলেই কেউ আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে চলে যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী অনেকের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী মামলা হয়েছে এবং বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ড. ইউনূস আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার ভোগ করছেন, আইনজীবী নিয়োগ করে জামিন নিয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছেন। এই মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইন, বিচারব্যবস্থা ও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করে সুবোধসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে এমন ধরনের বিবৃতি প্রদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং বেআইনি উদ্যোগ স্বেচ্ছাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। ইতিপূর্বে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেছি, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্যও দেশি-বিদেশি অপশক্তি বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল।
এই খোলা চিঠি সচেতন নাগরিক সমাজকে হতাশ করেছে উল্লেখ করে ১৪ দলের নেতারা আরও বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারপ্রক্রিয়া গোষ্ঠীতন্ত্র ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বন্ধ করতে বিবৃতি প্রদান বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী, প্রগতিশীল, সচেতন নাগরিক সমাজকে গভীরভাবে হতাশ করেছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিক বিশ্বাস করে, শুধু ড. ইউনূস নয়; যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিবৃতিতে ১৪ দল নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান সরকার জনগণের ন্যায়বিচার লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।বিবৃতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সংবিধান, আইন ও বিচারব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত বা প্রভাব বিস্তার করে এমন ধরনের বিবৃতি কিংবা তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ১৪ দল।
 



বাঁধন/সিইচা/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।