জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ‘Introducing Psychological First Aid for students’ emotional well-being’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের উদ্যোগে কর্মশালাটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ‘মানুষের মনস্তত্ব কিন্তু প্রতিনিয়ত পাল্টায়। একজন শিশুর মনস্তত্ব কিন্তু একজন কিশোর কিংবা যুবকের মনস্তত্বের চেয়ে সবসময় ভিন্ন। তুমি যখন বড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ তখন দেখবে তোমার আগের বোধ পাল্টেছে, পৃথিবীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। তুমি যখন যৌবনে পদার্পণ করবে- এইটা আরও পাল্টে যাবে। প্রতিদিন আমাদের বোধের যে পরিবর্তন এটা হতে থাকবে। জীবন পরিবর্তনশীল। সময় পরিবর্তনশীল। বোধও কিন্তু পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে এগোয়। বিশ্ব ব্যবস্থা বিশ্বের যে প্রযুক্তি এর মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। অতএব তুমি তোমার জীবনের যে বোধ এটিকে একেবারে যুক্তি দিয়ে পরিপার্শ দিয়ে অভিজ্ঞতা যাদের আছে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এগুতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি কথা প্রচলিত আছে যে-যুবকের ঘাড়ে বৃদ্ধের মাথা স্থাপন করা। এটি বাস্তবে যদিও অসম্ভব। কিন্তু এটিকে যদি আমরা প্রতীকি ভাবে নেই, তাহলে মানে হচ্ছে বয়স্কদের অভিজ্ঞতা নিয়ে যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়া। তাহলেই কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছা যায়। জীবন অনেক বেশি সুন্দর হয়।’
সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. আতাউর রহমান।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক (কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট) মোছা. আদিবা আক্তারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন।
কর্মশালার রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মাহযাবিন হক।
সালাউদ্দিন/সাএ