আগামীকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরস্থ পুরাতন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত- ফার্মগেট প্রান্ত) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যানবাহন চলাচল শুরু হবে আরও একদিন পর। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সেতু বিভাগ থেকে জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এর ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূল উড়ালসড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠানামার স্থানে (র্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এছাড়া নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে যেসব স্থান দিয়ে উড়ালসড়কে ওঠানামা করা যাবে, তাও জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
এদিকে প্রথম পর্যায়ে চালু হওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটারে চলাচল করা যানবাহনের কাছ থেকে চার ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল’, ১৬ সিটের কম মাইক্রোবাস এবং তিন টনের কম হালকা ট্রাকের ক্ষেত্রে টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। ছয় চাকা পর্যন্ত মাঝারি ট্রাকের টোল ৩২০ টাকা ও ছয় চাকার বেশি ট্রাকের টোল ৪০০ টাকা। এ ছাড়া ১৬ বা তার বেশি আসনের সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েটিতে ১১টি টোল প্লাজা থাকবে। যার পাঁচটিই এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে।
উড়ালসড়কে কোথা থেকে ওঠা যাবে যাও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উত্তরা থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা ও প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব থেকে উড়ালসড়কে উঠতে পারবে। এসব যানবাহন তিনটি স্থানে উড়ালসড়ক থেকে নামতে পারবে। স্থানগুলো হলো বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে ও ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।
অপর দিকে দক্ষিণ থেকে উত্তর অভিমুখী যানবাহন বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন এবং বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে উড়ালসড়কে উঠতে পারবে।
আশরাফুল/সা.এ.