ছাত্রলীগের ‘ছাত্র সমাবেশ’ শেষে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগর দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে। এতে আট জন আহত হয়েছে, বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তারের অনুসারীদের সঙ্গে শাখা সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমনের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে হোস্টেলে ঢুকতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
কলেজটির কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুনের অনুসারীদের অভিযোগ, তাদের ওপর প্রথম হামলা চালান সভাপতির অনুসারী ওহি, লাবনী, লক্ষ্মী, শ্রুতি ও সাদিয়া। পরে আরো বেশ কয়েকজন মিলে হল গেটের ভেতরে টেনে নিয়ে সাত-আটজনকে মারধর করেন। এতে শাকিলা, তনিমা, শাহিনুর, দোলন, হাফসাসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
হাবিবা আক্তার সাইমুন বলেন, সভাপতির উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা এ হামলা ঘটিয়েছে। এতে আটজন আহত হয়েছেন। আমার মেয়েদের হাত কেটে দিছে, কোমরে লাথি মারছে, ঝাড়ু দিয়ে মারছে। কেন মারছে আমি জানি না। তারা কেন এমনটা করলো এটা জানার জন্য আমি সভাপতিকে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার ফোন রিসিভ করেন নাই।
এদিকে কলেজটির শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলী বলেন, ঘটনার সময় আমি রুমে ছিলাম। চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে তাদের ঝামেলা মিটিয়ে দেয়। যার মোবাইল ভেঙে গেছে তার মোবাইল ঠিক করে দেব বলেছি। আমি কোনো হামলা করিনি, হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার ব্যাপারে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। হোস্টেলে যারা মেট্রোন রয়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। তারা বিষয়টি দেখেছেন।
হোস্টেলের মেট্রোন তাহমিনা খাতুন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। পরে দুই পক্ষের সাথে কথা বলে সেটি মিটিয়ে দেয়া হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ