Bangal Press
ঢাকাTuesday , 5 September 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুড়ীতে ১১ বছরেও শুরু হয়নি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে’র নির্মাণ কাজ 

ডেস্ক রিপোর্ট
September 5, 2023 8:10 am
Link Copied!

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দাপ্তরিক কার্যক্রম অধিক সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জনবহুল এলাকায় সরকারি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন শেষ হলেও মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে এখনো  স্থান নির্ধারণ করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ শেষ হলেও জুড়ীতে নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। তারা বলছেন, দেশের জন্য যুদ্ধ করে প্রাণ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স দেখে যেতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সবাই আক্ষেপ করছেন। দফায় দফায় সময় বেঁধে দেয়া হলেও কাজ শুরু না হওয়ায় ভবনের নির্মান কাজ নিয়ে তারা আশংকা প্রকাশ করছেন। এজন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকেই দায়ী করছেন তারা। তারা আরো  বলেছেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা থাকলে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণ আলোর মুখ দেখবে।
সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক অবদান থাকলেও এই শহরের মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রে বসার কোন জায়গা নেই।  শহরের দুটি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় এখনও  ভবন তৈরির কাজ শুরু করা হয়নি। স্থান নির্ধারণের জটিলতায় আটকে আছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সারা দেশের মত জুড়ী উপজেলায় শহরের জনবহুল সরকারি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করতে বলা হয় উপজেলা প্রশাসনকে।
নির্দেশনা পেয়ে প্রথমে শহরের জনবহুল জায়গা রেল স্টেশন রোডে পরে কালীবাড়ি মন্দিরের পাশে মুক্তিযোদ্ধা  কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসন। সেখানে ভবন নির্মাণে টেন্ডার প্রদান প্রদানের পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও কাজ পায়। কিন্তু পরবর্তীতে এ দুটি জায়গা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হলে ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ আটকে যায়। পরে উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়। সে জায়গায় সড়ক ও জনপথের মেইন সড়কের পাশে না হওয়ায় সেখানে ভবন নির্মাণের দ্বিমত পোষণ করেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।  ফলে স্থান নির্ধারণ না হওয়ায় আটকে আছে কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ। বর্তমানে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলছে। অধিগ্রহণের অনুমতি পেলেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হবে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে‌।
জানা গেছে, ২০১২ সালে সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে ২০১৫ সালের জুন নাগাদ দেশের আট বিভাগের ৬৩টি জেলার ৪৭০টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শীর্ষক’ একটি প্রকল্প গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরকে। দেশের সর্বত্র সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও স্বদেশপ্রেম উদ্বুদ্ধকরণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বাড়ানো, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দাফতরিক কার্যক্রম অধিকতর সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পন্ন করা এবং তহবিল গঠনের মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই এ প্রকল্পটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটি সফলভাবে সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় চলমান কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত দেয় পরিকল্পনা কমিশন। পরে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জন পর্যন্ত নির্ধারণীসহ প্রকল্প সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করলে গত ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়।
উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে জায়গা নির্ধারণে মামলা , নানা জটিলতা ও  প্রশাসনিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে জুড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন তৈরি বিলম্বিত  হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বদিচ্ছার কোন অভাব নেই।
মুক্তিযোদ্ধা বাবুল খান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সরকার, স্বাধীনতার সরকার। অবিলম্বে নিজস্ব জায়গায় এই কমপ্লেক্স তৈরির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সরকার, স্বাধীনতার পক্ষের সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে শহরের প্রাণকেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এই কমপ্লেক্স তৈরির অনুমতি দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার।
উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাশ বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় জুড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সম্ভব হয় নি। জমি অধিগ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের পর যত দ্রুত সম্ভব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হবে।



এমআর/বা.স.

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।