ব্যাট, বল কিংবা ফিল্ডিং; এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সব ফরম্যাটেই দারুণ পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানদের বিপক্ষে ৮৯ রানের দাপুটে জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এতে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
এশিয়া কাপে টিকে থাকার সমীকরণে আফগানদের সুযোগ সবচেয়ে কম। রশিদ-নবিরা যদি লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ও পায়, তবুও নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে সুপার ফোরে খেলবে সাকিব বাহিনী। আফগানদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করছে টাইগার শিবির। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ছিল কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব।
নিষ্প্রাণ উইকেটে বোলারদের প্রয়োজন মতো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আক্রমণে এনেছেন, দলের প্রয়োজনে বোলাররাও সাকিবের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। রান আটকাতে সাকিবের সব সিদ্ধান্তই প্রশংসার দাবিদার। আর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এমন অধিনায়কত্বে মুগ্ধ ভারতীয় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক। সাকিব বল হাতে উইকেট না পেলেও তার ইতিবাচক অধিনায়কত্বে খুশি কার্তিক।
ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকবাজের ধারাভাষ্য প্যানেলে সাকিব প্রসঙ্গে কার্তিকের ভাষ্য, সাকিব খুবই চালাক, বোলার হিসেবে এবং অধিনায়ক হিসেবে। সে বোলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলা করায়। আপনি যদি তাকে সতর্কভাবে খেয়াল করেন, দেখবেন সে পেসারদের ৩ থেকে ৪ ওভারের ছোট স্পেল করায় এবং তারপর স্পিনারদের আনে এবং পুনরায় একই কাজ করতে থাকে। সে হয়তো খুব বেশি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নয়, তবে তার অধিনায়কত্ব নিশ্চিতভাবেই একটা ইতিবাচক আবহ নিয়ে আসে।
যদিও ব্যাট হাতে বেশকিছু দিন হয় খুব একটা ভালো করতে পারছিলেন না সাকিব। তবে এশিয়া কাপে আফগানদের বিপক্ষে শেষদিকে নেমে ৪ বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৩২ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। আর বল হাতেও বেশ মিতব্যয়ী ছিলেন সাকিব।
উল্লেখ্য, ‘বি’ গ্রুপে এক জয় ও এক হারে দুই পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে বাংলাদেশ। আর এক জয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। এক হারে টেবিলের তলানিতে আফগানিস্তান। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে সুপার ফোরে ওঠে গেছে পাকিস্তান।
আশরাফুল/সা.এ.