লালমনিরহাট বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদের জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা জেলার কেন্দ্রীয় নাস টার্মিনালের সামনের মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বললে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। তবে জেল হাজতে যাওয়া শ্রমিক নেতাদের অনতিবিলম্বে জামিন না দিলে আগামী রোববার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার( ৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমাড়ী মহাসড়কে এ সড়ক অবরোধ করেন বাস- মিনিবাস শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের করা সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পরা পথচারী সম্রাট হোসেন জানান, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়েছে যেটি কাম্য নয়। শ্রমিকনেতা আবুল কালাম জানায়, শ্রমিকদের জন্য ক্রয় করা জমি নিয়ে শ্রমিক নেতাদের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উচ্চ আদালত থেকে বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বুলবুল জামিন নেন।
আজ লালমনিরহাটের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন মঞ্জুর না করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এজন্যই শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকা বলেন, জেল হাজতে যাওয়া শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আগামী রবিবারের মধ্যে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তিনি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) আলমগীর রহমান বলেন, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কথা শুনে এখানে এসেছি। জনগণের ভোগান্তি যাতে না সেজন্য শ্রমিকনেতাদের সাথে কথা বলছি। তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আনোয়ারুল হক দুদুর দায়ের করা একটি মামলায় ওই দুই নেতা এতদিন উচ্চ আদালতের অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষে দুপুরে লালমনিরহাটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল বারীর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বাঁধন/সিইচা/সাএ