দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রাথমিক ভাবে ৬৮ সংস্থা চুড়ান্ত করলেও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ সংখ্যক পর্যবেক্ষক সংস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এজন্য ফের দেশিয় পর্যবেক্ষকদের কাছে ফের আবেদন আহ্বান করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে খুব স্বল্প সময়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনার এ সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আহসান হাবিব খান (অব:) জানান, বর্তমান কমিশন অবাধ, সুস্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের ব্যপারে সর্বদাই আন্তরিক, সে কারণেই নিরেপক্ষ পর্যবেক্ষক দ্বারা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কমিশন চায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যবেক্ষক আগামী জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে থাকুক। স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য এটি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত নিবন্ধনযোগ্য স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা আগের তুলনায় কম। এই সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
এবার ইসি আবেদন আহ্বান করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি সংস্থা পর্যবেক্ষক হওয়ার আবেদন জানায়। সময়ের পরে আরও আবেদন করে ১১টি সংস্থা। এদের মধ্যে গত ৮ আগস্ট প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৬৮টি সংস্থার তালিকা প্রকাশ করে আপত্তি আহ্বান করে ইসি। এতে মানিকগঞ্জের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন নামে সংস্থাটির বিষয়ে একটি আপত্তি ইসিতে জমা পড়ে। অবশিষ্ট ৬৭টি সংস্থার নিবন্ধনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
জানা গেছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন সংস্থাটির নামের শেষে কমিশন শব্দ থাকায় আপত্তি এসেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার সংখ্যা ছিল বর্তমানের চেয়ে কম। সে সময় দেশিয় পর্যবেক্ষক ছিল শতাধিক। আর এবার ৭০টিও হচ্ছে না। তাই ফের আবেদন আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তবে যারা বাছাইয়ে টেকেনি, তারা নতুন করে আবেদন দেওয়ার সুযোগ পাবে না।
নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য ভোট পর্যবেক্ষণে সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দিয়ে থাকে।২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।
এমআর/বা.স.