ঝিনাইদহে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শ্বশুর বাড়ি হলিধানী গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদের চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখেন, সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না! আমার জায়গা-জমি বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেক জনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া তার সাত, আট, দশগুণ পরিমাণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ মামলা করেছে, কেউ কেউ অপমান অপদস্থ করেছে। আমি আর সহ্য করতে না পেরে বিদায় নিলাম। আমার জানাজা হবে কিনা জানি না। যদি হয় তাহলে সুদখোররা টাকা চাইতে এলে আমার শরীরটাকে কেটে ওদেরকে দিয়ে দিবেন। এই সুদখোরদের বিচার আল্লাহ করবেন। সুদখোরদের নাম বললাম না কিন্তু তারা সবাই টাকার জন্য আসবে। তখন বুঝতে পারবেন তারা কারা।
মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সবুরা খাতুন বলেন, আমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম সুরুজ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন। কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে হলিধানী বাজারে একটি কনফেকশনারির দোকান দেন। হঠাৎ করে দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে দোকান ছেড়ে দেন। এর মাঝে অনেক পাওনাদার তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার কোনো এক পাওনাদারের ফোনে তিনি ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাবার বাড়িতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী সুদখোরদের অত্যাচারে এবং তাদের চাপে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এই বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
আশরাফুল/সা.এ.