ছাত্রলীগের দুই নেতার উপর নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে বড় কর্মসূচি দিবে ছাত্রলীগ। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের যদি মনে হয়, আইনি প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে এডিসি হারুনের বিচার হচ্ছে তাহলে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবো।
ইনান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। উনি আমাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তাৎক্ষণিক এডিসি হারুনকে স্ট্যান্ড রিলিজ দিয়েছেন। পুলিশ বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, তারা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন। আইনীভাবে কতটুকু কী করা যায়, আমরা খতিয়ে দেখছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক। বাংলাদেশ পুলিশ শিক্ষার্থীবান্ধব, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করে। সেক্ষেত্রে পুলিশের এমন বিচ্ছিন্ন কর্মকর্তার কাজ পুরো বাহিনীর জন্য লজ্জাজনক। এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের অনুরোধ জানাই।
ইনান জানান, তিনি নিজে গতকাল (শনিবার) শাহবাগ থানায় গিয়ে নাঈমকে উদ্ধার এবং বিষয়টি মীমাংসা করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমি গিয়ে দেখি, নাঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ, কর্মকর্তা শাহেনশাহ ও সালমান আন্তরিকভাবে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ সময় আমি মুনীমের থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তাৎক্ষনিক বিচারের দাবি জানিয়েছি। আমরা বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে সমাধান সম্পর্কে তাদের অবহিত করি। তারপর তারা শান্ত হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেড়ধক পিটিয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পিটিয়েছেন।
এমআর/বা.স.