রিজার্ভ ডেতেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের পরে। তবে কর্তন করা হয়নি কোনো ওভার। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ভারত সংগ্রহ করেছে ৩৫৬ রান। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কোহলি ও রাহুল। রাহুল ও কোহলি ভারত নির্ধারিত দিনে ২৪.১ ওভারে ১৪৭ রান সংগ্রহ করার পরই নেমেছিল বৃষ্টি।
ফলে আর খেলা হয়নি রবিবার। সেই খেলা আবার শুরু হয় সোমবার। যদিও সোমবারেও ছিল বৃষ্টির বাগড়া। ফলে আজও দেরি হয় খেলা শুরু হতে। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বের পর ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। প্রথম দিনেই আউট হয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল। পাকিস্তান মাঠে নামার আগেই জানানো হয় যে আজ বল করতে পারবেন না হারিস রউফ। রবিবার ফিল্ডিংয়ের সময়ই ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। সতর্কতাবশত আর আজ মাঠে নামানো হয়নি এই পেসারকে।
পাকিস্তানের নামকরা বোলিং বিভাগ যেন নির্জীব হয়ে যাব রাহুল ও কোহলির সামনে। শাহীন-নাসিমদের উড়িয়ে সাবলীলভাবেই রান তুলতে থাকেন তারা দুইজন। ৬০ বলে অর্ধশতক তুলে নেন রাহুল। তারপর কোহলিও হাঁকান অর্ধশতক। তিনি পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ৫৫ বলে।
রাহুল-কোহলি দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারতকে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুইজনই স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। এখানেই রাহুলই আগে শতকের দেখা পায়। দশটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ঠিক ১০০ বলে ১০০ রান স্পর্শ করেন রাহুল।
কোহলিও দ্রুতই শতকের দেখা পান। মাত্র ৮৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম শতক হাঁকান কোহলি। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৭৬তম শতক এটি। শতক হাঁকানোর সময় কোহলির বাউন্ডারির সংখ্যা ছিল ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কা।
৫০ ওভার পর্যন্তই ব্যাটিং করেন রাহুল ও কোহলি। ভারত সংগ্রহ করে ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। রাহুল খেলেন ১০৬ বলে ১১১ রানের ইনিংস। ইঞ্জুরির পর মাঠে ফিরেই শতক দিয়ে প্রত্যাবর্তন রাঙালেন তিনি। অপরদিকে কোহলি ছিলেন আরো আক্রমণাত্মক। তিনি করেন ৯৪ বলে ১২২ রান। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ১২টি চার ও দুইটি ছক্কা। কোহলি হাঁকান ৯টি চার ও তিনটি ছক্কা।
আশরাফুল/সা.এ.