ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেরপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ০২ টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে নবীন বরণ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মুজাহিদুল ইসলাম রোমানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি আব্দুল মান্নান মেজবাহ।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে.এম. সরফউদ্দিন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস.এম শোয়েব,ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুল ইসলাম,এ.বি.এম. রিজওয়ান উল ইসলাম এবং হাসিবুল হাসান সহ শেরপুর জেলা থেকে আগত শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এসময় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কে.এম সরফউদ্দিন বলেন, আমরা যখন এখানে ছিলাম আমরা হীনমন্যতায় ভুগতাম। এখন আপনাদের এই হীনমন্যতা ফিল হচ্ছে না আশাকরি। আপনারা আজ অবিভাবক শূন্য নন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেটওয়ার্কিং এর সবথেকে বড় প্লাটফর্ম এই জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। ছোট-বড় সবাইকে কানেক্ট করায় এটি। ছাত্রকল্যাণ শব্দটি খুবই রিমার্কএবল। কল্যাণের দিকে খেয়াল রাখবেন। ছাত্র,শিক্ষক,পরিবার, সমাজ,দেশ সবার কল্যাণের কথা ভাববেন। কারো যেনো অকল্যাণ না হয় আপনার দ্বারা সেটি স্মরণে রাখবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, জেলা সমিতির যে মূল কাজ সেটা হলো যারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে বা ভর্তি হতে আসে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া, হলে সিট দেয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করা, পড়াশোনার ব্যাপারে সহায়তা করা, তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি যায়গা যেখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে শিক্ষকরা সিনিয়র রিসার্চার এবং শিক্ষার্থীরা জুনিয়র রিসার্চার। তাই তোমাদেরও উচিত শিক্ষক এবং সিনিয়রদের অনুসরণ করে নিজেদের কমিউনিকেশন বৃদ্ধি করার জন্য জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত থাকা।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল মান্নান মেজবাহ বলেন, আজকের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা, সবার সহযোগীতা কাম্য। নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেশন আরো বৃদ্ধি করতে হবে। দীর্ঘদিন বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম, কতটা কাজ করে সফল তা বিবেচনার দায়িত্ব আপনাদের। স্যাররা, উপদেষ্টারা সময় দিয়েছেন সবাইরে ধন্যবাদ। ৪ অক্ষরের শেরপুর নামটা আমাদের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা। শেরপুরের সুনাম বাড়াইছে, আরো বাড়ুক এই আশাবাদ। আপনারা সাথে থাকবেন, পাশে থাকবেন, এই কার্যক্রম কে আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন