অধ্যক্ষের কক্ষ তালা লাগানো থাকায় জামালপুরের ইসলামপুর সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদ বারান্দায় বসে অফিস করেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবি সরকারিভাবে অধ্যক্ষ যোগদানের কোনো চিঠি না পাওয়ায় তার কক্ষ বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৬ জুন সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত টাঙ্গাইলের সরকারি মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদকে সরকারি ইসলামপুর সরকারি কলেজে সংযুক্ত করা হয়। গত ৮ জুন যথা সময়ে অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদ ইসলামপুর সরকারি কলেজে যোগদান করেন। ওইদিন ফুল দিয়ে তাকে বরণ করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে ওই অনুষ্ঠানে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (উপাধ্যক্ষ) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধ্যক্ষ বারান্দায় বসে কাজকর্ম করছেন। শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন স্থানে জটলা করছেন। এমন খবরে কলেজসহ এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলে তালা, ফিরে গেলো শিক্ষার্থীরা
স্থানীয়রা জানান, ১৯৭০ সালে ইসলামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। কলেজটি ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সরকারিকরণ হয়। বর্তমানে কলেজে অনার্সে ১২ বিভাগ, মাস্টার্সে চার বিভাগসহ ডিগ্রি, এইচএসসি, কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী ও ১২৮ জন শিক্ষক ৫৭ জন কর্মচারী রয়েছে।
তারা জানান, ২০ বছর ধরে কলেজটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এরআগে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতান সালাউদ্দিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি আদালতের নির্দেশে একাধিক বার কলেজে যোগদান করতে এসে বার বার বাধাপ্রাপ্ত হন। এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নবাগত অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দীন আহমদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে নবাগত অধ্যক্ষ ড. ছদরুদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৮ জুন অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদান করি। রোববার সকালে অফিস করতে গিয়ে দেখি অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলছে। স্টাফরা জানান তালার চাবি না কি হারিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি বারান্দায় বসে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
অধ্যক্ষ আরও জানান, যেহেতু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্মস্থলে উপস্থিত নেই সেহেতু প্রশাসন ছাড়া তিনি তালা ভেঙে অফিস করতে পারেন না। তাই তিনি এখানেই বসে নিয়মিত কাজ করেছেন।
ইসলামপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারিভাবে অধ্যক্ষ যোগদানের অফিসিয়ালি কোন চিঠি পাননি। অধ্যক্ষের অফিসকক্ষ বন্ধের বিষয়ে তিনি জানান, তিনি যেহেতু কর্মস্থলে নেই সেক্ষেত্রে অফিস কক্ষ বন্ধই থাকবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস