গুরুদাসপুরের সরকারি খাদ্য গুদামে এ বছরেও আমন চাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে চাল দিচ্ছেন না মিলাররা। চাল সংগ্রহের চুক্তি না হলে এবারো আশপাশের জেলা—উপজেলার ওপর নির্ভর করতে হবে।
খাদ্য গুদামের তথ্যমতে, নতুন আমন চাল বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ২৩ নভেম্বর চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন হওয়ার কথা। গত মওসুমে খোলা বাজারে প্রতিকেজি আমন চাল ৪৮ টাকা দর ছিল, বর্তমানেও একই মূল্য। অথচ গতবার সরকারি দর ছিল ৪২ টাকা কেজি, এ বছর নির্ধারন করা হয়েছে ৪৪ টাকা। ফলে মিলাররা সরকারি রেটে চাল বিক্রিতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। এখন পর্যন্ত সরকারের সাথে এসব মিলারদের চুক্তি না হওয়ায় আমন সংগ্রহ অভিযান এবারো ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষি অফিস বলছেন গুরুদাসপুরে বছরজুড়েই রোপা আমন, বোনা আমন, ইরিসহ বেশ কয়েকটি জাতের ধান উৎপন্ন হয়। বছরে উপজেলায় স্থানীয়ভাবে চাল উৎপাদন হয় ৬৪ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন। অথচ স্থানীয় চাহিদার দেড় হাজার থেকে ২ হাজার মেট্রিকটন চাল সরকারি দরে বিক্রি করছেন না মিলাররা।
গুরুদাসপুর চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একসময় চাল বিক্রিতে সক্রিয় সিন্ডিকেট ছিল, এখন নেই। মিলাররাই সরাসরি চাল বিক্রি করতে পারছেন। শুধু দর নিয়ে তাদের আপত্তি। সরকারিভাবে দাম বাড়ালে ব্যবসায়িরা চাল বিক্রিতে আগ্রহী হবেন।
গুরুদাসপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমন মওসুমে চুক্তির জন্য ৪৪টি মিলের তালিকা পাঠানো হয়েছে। মিলাররা চুক্তিবদ্ধ না হলে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে সংকটে পড়তে হবে। তবে তারা মিলারদের সাথে চুক্তি করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
শাকিল/সাএ