দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএসের টানে ঘর ছেড়েছে রাজধানীর মেরাদিয়ার ৩ কিশোরী। তাদেরই একজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রিজওয়ানা রিজু (১৪)। ঘর ছাড়ার আগে একটি চিঠি লিখে গেছে। যেখানে সে জানায়, মা-বাবার অবহেলায় বিটিএসের সদস্য জাংকুককে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর সে।
এবিষয়ে রিজওয়ানার মা হনুফা বেগম বলেন, যাওয়ার আগে ওরা বলে গেছে বিটিএসের কাছে যাবে। বিটিএস কি তা আমরা জানি না। এদের কোনো ঠিকানা, নম্বর নেই। ওরা বলছে আমরা বিটিএসে কাছে যাই। ওদের সদস্যদের আমরা বিয়ে করবো।
নিখোঁজ ৩ কিশোরীর বাকি ২ জন প্রায় একই বয়সের জান্নাতুল আক্তার বর্ষা ও রুবিনা আক্তার মিম।রিজওয়ানার পাশের বাসাতেই থাকতো তারা। ২৯ জানুয়ারি দুপুর থেকে তাদেরও কোনো খোঁজ নেই। এই ৩ মেয়েই বাবা-মার একমাত্র কন্যা সন্তান।
বর্ষার মা হোসনে আরা বেগম বলেন, টিভিতে সারাক্ষণ বিটিএস দেখতো। বিটিএস দেখার জন্য ঝগড়াও করতো। যদি ওরে দেখতে না দেয়া না হতো তাইলে ওর মন খারাপ হতো। আমরা যদি কেউ রিমোট চাইতাম চেয়ে বলতাম অন্য কিছু দেখি, তাইলে ও দিতো না। রাগ করতো।
মিমের মা মুক্তা আক্তার বলেন, সে বিটিএস চ্যানেলটা দেখতো সব সময়। রিমোট হাত থেকে নিয়ে গেলে ওইবেলা খাওয়া বাদ দিয়ে দিতো। খাওয়া দাওয়ার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিলো না। সারাক্ষণ ওই চ্যানেল দেখতো।
এর আগে, গেলো ২৯ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বাসার সামনের রাস্তায় অপেক্ষা করছে বর্ষা। এর কিছুক্ষণ পর একটি রিকশায় করে সেখানে আসে মিম ও রিজওয়ানা। তারপর একই রিকশায় চলে যায় তারা।
নিম্নবিত্ত এই তিন পরিবারের সদস্যরা বেশিরভাগ সময়েই জীবিকার প্রয়োজনে থাকতেন ঘরের বাইরে। বিটিএস সম্পর্কে ধারণাও নেই তাদের। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে তদন্তে এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ অগ্রগতি নেই।
বাঁধন/সিইচা/সাএ