Bangal Press
ঢাকাSaturday , 6 January 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রামু বৌদ্ধ বিহারে আগুন দেওয়ার চেষ্টা

Link Copied!

রামুর বৌদ্ধ বিহারে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে ‘দুর্বৃত্তরা’। এতে বিহারের একটি সিঁড়ি পুড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকল বাহিনীর কর্মীদের তড়িৎ পদক্ষেপের কারণে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। 
আগুন সূত্রপাতের কারণ বা এটি নাশকতা নাকি নিছক দুর্ঘটনা, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুক্ত আন্দোলনে থাকা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আগের রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ঠেকাতে ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে ‘অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরাই’ আগুন দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বৌদ্ধ বিহারসহ আশপাশের সব সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। 
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে রামু উপজেলা সদরের চেরাংঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আবু তাহের দেওয়ানের বক্তব্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে রামু উপজেলা সদরের চেরাংঘাটারে রাখাইন সম্প্রদায়ের উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারের (বড় ক্যাং) পুরোহিতসহ অন্যরা প্রতিদিনের মত ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে ১৫০ বছরের পুরানো কাঠের তৈরি বিহারটিতে আকস্মিকভাবে আগুন লেগে যায়। আগুন দেখে বিহারের ভিতরে অবস্থানকারীরা চিৎকার, ডাকাডাকি শুরু করেন। তাঁদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। 
পরবর্তীতে খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বিহারের ভিতরের কাঠের তৈরি একটি সিঁড়ি পুড়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিক আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। 
পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে ওসি তাহের দেওয়ান বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা জানা যায়নি। তাছাড়া এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। রাতে ঘটনাটি শোনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বৌদ্ধ বিহারসহ আশপাশের সব সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ ঘটনা কীভাবে ঘটেছে বা কোন দুর্বৃত্তরা সংঘটন করেছে কিনা পুলিশ তদন্ত করছে।’
ঘটনার পর থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। (শনিবার) সকালে পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান রামু থানার ওসি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিখায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। পুড়ে যায় ১২টি বৌদ্ধবিহার, ২৬টি বসতঘর। পাশাপাশি আরও ছয়টি বৌদ্ধবিহার এবং শতাধিক বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়। পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে উখিয়া ও টেকনাফে আরও চারটি বৌদ্ধবিহারে হামলা চালানো হয়। এতে পুড়ে যায় এসব বিহারে থাকা হাজার বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
এ ঘটনায় রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রামু থানায় আটটি, উখিয়ায় সাতটি, টেকনাফে দুটি ও কক্সবাজার সদর থানায় দুটি মামলা রেকর্ড হয়।



সালাউদ্দিন/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।