দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রার্থিতা হারালেন শরীয়তপুর-১ (সদর ও জাজিরা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহমেদ। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৩০ নভেম্বর শরীয়তপুরের সংসদীয় তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ, দুই স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টিসহ ২২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শনিবার শরীয়তপুর-১, ২ ও ৩ আসনের আসনের প্রার্থীদের তথ্য যাচাই বাছাই হয়। এতে এক শতাংশ ভোটার তালিকায় ভোটারের তথ্য গরমিল থাকায় শরীয়তপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তাদের এর বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার জানা মতে কোনো ভুল নেই। আমি এর বিরুদ্ধে আপিল করব। এ ব্যাপারে শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনে যাব এবং আপিল করব। এর মধ্যে আমার নির্বাচনি কাজ থেমে থাকবে না। ৭ জানুয়ারি আমরা বিজয়ী হব।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ভোটার তালিকায় ভোটারের তথ্য গরমিল থাকায় ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
আশরাফুল/সা.এ.