বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচন ও বিরোধীদের ধরপাকড় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে না। বরং দেশটি একই সঙ্গে দুটিই করবে। একদিকে নিজেদের উদ্বেগের বিষয়গুলো স্পষ্ট করবে, অন্যদিকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এসব কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক মিলারের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের বিষয়ে আপনাদের সর্বশেষ বিবৃতিতে আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট নানা খাতে কাজ করতে আগ্রহী। ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আছে—সন্ত্রাস দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন না জানিয়ে বাংলাদেশে নতুন সরকারের সঙ্গে বড় পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করা কীভাবে সম্ভব?
উত্তরে ম্যাথু মিলার বলেন, আমি বলব, সারা বিশ্বে আমাদের এ ধরনের সম্পর্ক আছে। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, ধরপাকড় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এটি উভয় ক্ষেত্রেই রয়েছে। যেসব বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে সেসবের পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সহযোগিতা করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে আগেও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগে প্রকাশ করতে দেখেছেন। আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এমন প্রমাণ খুঁজে পাইনি। সেই নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার নিয়েও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
ম্যাথিউ মিলারে বলেন, আমি দুটি বিষয় বলব। প্রথমত, গ্রেপ্তারকৃত সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। দ্বিতীয়ত, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। সেইসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাব।
রার/সা.এ