Bangal Press
ঢাকাThursday , 8 June 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউক্রেনের বিপুল কৃষিজমি প্লাবিত, ক্ষতি রাশিয়ারও

Link Copied!

খেরসনের নোভা কাখোভকা বাঁধ গুড়িয়ে দেওয়ায় ইউক্রেনের বিশাল এলাকায় যে বন্যা দেখা দিয়েছে, তাতে প্লাবিত হয়েছে বিপুল কৃষিজমি। এর ফলে দেশটির কৃষিখাতে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।

বুধবার (৭ জুন) দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের মাঠগুলো আগামী বছরের শুরুর দিকেই ‘মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে’। কারণ কাখোভকা জলাধারের ওপর নির্ভরশীল সেচ ব্যবস্থাগুলো আর কাজ করছে না।

জলাধারটি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। আনুমানিক ৪ দশমিক ৪ ঘন মাইল পানি গর্জন করতে করতে দিনিপ্রো নদী বেয়ে কৃষ্ণসাগরের দিকে এগোচ্ছে।

ইউক্রেনীয় কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধের আগে ওই এলাকার ৩১টি সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে পানি সরবরাহ করা হতো। এই পানির একমাত্র উৎস ছিল কাখোভকা জলাধার।

মন্ত্রণালয়ের ফার্স্ট ডেপুটি মিনিস্টার তারাস ভিসোটস্কি বলেন, এই পানি নেওয়া এবং পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাঁধ ও পাম্পিং স্টেশনটি আমাদের প্রয়োজন ছিল। সেটি এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষকদের জন্য যদি আবার পানির লাইন করতে হয়, তবে তা গোড়া থেকে শুরু করতে হবে।

খেরসন ইউক্রেনের অন্যতম উর্বর এলাকা। সেখানকার তরমুজের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এছাড়া পেঁয়াজ, টমেটো, সূর্যমুখী, সয়াবিন এবং গমও উৎপাদন হয় প্রচুর। এগুলোর পাশাপাশি ডেইরি খাতেও কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ক্ষতি রাশিয়ারওনোভা কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস হওয়ায় ক্ষতি শুধু ইউক্রেনের হচ্ছে, তা নয়। এতে রাশিয়াকেও ভুগতে হবে।

দিনিপ্রো নদীর ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত উত্তর তীরের তুলনায় রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ তীর বরাবর বন্যা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ। তাছাড়া রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও কাখোভকা বাঁধের ওপর নির্ভরশীল। সেটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে পানির তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

দিনিপ্রো নদী থেকে যে খালের মাধ্যমে ক্রিমিয়ায় পানি সরবরাহ করা হয়, সেটি ঠিক কাখোভকার ওপর অবস্থিত। কিন্তু জলাধারটি শুকিয়ে গেলে ওই খালে আর কোনো পানি পৌঁছাবে না।

রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, খালটিতে এরই মধ্যে পানিপ্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এই ক্ষতিকেই তারা বাঁধ ধ্বংসের পেছনে ইউক্রেনের হাত রয়েছে, এমন দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে।

সূত্র: বিবিসিকেএএ/

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।