Bangal Press
ঢাকাWednesday , 31 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিশুদের ‘তাহনিক’ করা কি সুন্নত?

Link Copied!

শিশুদের ‘তাহনিক’ করা একটি সুন্নত আমল। এটি শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষয়রোধে কার্যকরী। নবজাতকের জন্মের পর তাহনিক করতে বলেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু কীভাবে তাহনিক করবেন? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কীভাবে তাহনিক করেছেন?

তাহনিক কী?

নবজাতকের জন্মের পর ৩টি কাজ করা আবশ্যক ও সুন্নত। এর মধ্যে তৃতীয় কাজটি হলো- তাহনিক করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবজাতকের জন্য তাহনিক করাটা আবশ্যক করে দিয়েছেন।

তাহনিক হলো- খেজুর চিবিয়ে সেই চর্বিত খেজুর নবজাতকের মুখে দেওয়া। নবজাতকের মুখের (জিহ্বার) তালুতে আলতোভাবে মালিশ করা যাতে এর কিছু রস তার পেটে পৌঁছে যায়।

যদি খেজুর পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তবে সুন্নাতের উপর আমল করার নিয়তে যে কোনো মিষ্টিদ্রব্য দ্বারা তাহনিক করা যায়। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নবজাতক শিশুদেরকে পেশ করা হতো। তিনি তাদের জন্য বরকতের দোয়া করতেন এবং তাদেরকে মিষ্টি মুখ করাতেন।’ (মুসলিম)

ইমাম নববি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে খেজুর দিয়ে তাহনিক করা সুন্নত। খেজুর চিবিয়ে নবজাতকের মুখের তালুতে আলতোভাবে মালিশ করা এবং তার মুখ খুলে দেওয়া, যাতে তার পেটে এর কিছু অংশ প্রবেশ করে।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ইসলামকি স্কলারগণ বলেছেন, খেজুর দ্বারা তাহনিক করা সম্ভব না হলে অন্য কোনো মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য দিয়ে তাহনিক করা যেতে পারে। কেননা সবার কাছেই তাহনিক করা মোস্তাহাব আমল। শিশুর তাহনিক করার ব্যাপারে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করেননি। হাদিসে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তাহনিক করার পদ্ধতি ওঠে এসেছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ তালহা ভূমিষ্ঠ হলে আমি তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে গেলাম। তিনি বলেন, তোমার সঙ্গে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর চিবালেন। এরপর তা বের করে বাচ্চার মুখে দিলেন। বাচ্চাটি জিব্বা দিয়ে চুসে ও ঠোটে লেগে থাকা অংশ চেটে খেতে লাগল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দৃশ্য দেখে বলেন, দেখ! আনসারদের খেজুর কত প্রিয়!’ (মুসলিম)

হজরত আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমার এক সন্তানের জন্ম হলে, আমি তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নাম রাখেন ইবরাহিম। এরপর খেজুর দিয়ে তাহনিক করেন, তার জন্য বরকতের দোয়া করেন এবং আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। এটা আবু মুসার বড় সন্তানের ঘটনা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবজাতকের জন্মের পরপর যে ৩ কাজ করা সুন্নাত ও আবশ্যত তন্মধ্যে অন্যতম একটি তাহনিক করা। এর ফলে অনেক নবজাতক জন্মের পর জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে রোগ-ব্যধি ও বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবজাতকের জন্মের পর দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কানে আজান-ইকামত ও তাহনিকের মাধ্যমে মুখে খেজুর বা মিষ্টি দ্রব্য খাওয়ানোর তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।