অবশেষে বিপিএলে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ‘দূর্দান্ত’ পারফরম্যান্সে মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৬০ রানের বড় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এদিন ব্যাটে ঝড়ো ৩৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে রংপুর। জবাব দিতে নেমে ১৮ ওভারেই ১১৫ রানে অলআউট হয় ঢাকা।
১৭৬ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ৪ রান তুলতেই সাব্বির হোসাইন ও সাইম আইয়ুবকে হারায় দলটি। শুরুর দিকে একা নাইম শেখই ব্যাট হাতে যা একটু স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন। ওপেনিংয়ে নেমে ৩১ বলে সমান ৩টি চার ও ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি।
প্রথম ১৪ ওভারে মাত্র ৭৮ রান করে ঢাকা। হারায় শুরুর ৭ উইকেট। শেষদিকে ইরফান শুক্কুর ১৫ বলে ২১ ও তাসকিন আহমেদ ৮ বলে ১৫ রান করলে তাতে শুধু ব্যবধানই কমে। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভারে ১১৫ রানেই থামে ঢাকা।
বল হাতে সাকিব আল হাসান ছিলেন দুর্ধর্ষ। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এর মধ্যে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিক সম্ভাবনাও। শেখ মেহেদীও বরাবরের মতো চিনিয়েছেন জাত। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট।
এর আগে টস জিতে এদিন রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা। শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের ওপের আক্রমণ চালান রনি তালুকদার। আরেক ওপেনার বাবর খেলেন আস্তেধীরে। ওপেনিংয়ে দুজনে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। মাত্র ৭ ওভার ৪ বলেই এই রান করে রংপুর। এই রানের মাথায় ২৪ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন রনি। ৬টি চার ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
এরপরই মাঠে নামেন সাকিব। বাবর আজমের সঙ্গে গড়েন ৫২ রানের জুটি। যেখানে একাই সাকিবের অবদান ৩৪ রান। ১১৯ রানে বাবর (৪৩ বলে ৪৭) ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দ্রুতই আউট হয়ে যান সাকিব ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই।
এরপর শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ নবি। শেষ ২২ বলে ৪৪ রান তোলে এই জুটি। শেষ পর্যন্ত সোহান ১০ বলে ১৬ ও নবি ১৬ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতে ১৭৫ রানে থামে রংপুর।
রার/সা.এ