স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পথে টেকসই নগরায়ন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অষ্টম আরবান ডায়ালগ ২০২৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্ট এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কনসোর্টিয়াম আরবান আইএনজিও ফোরামের আয়োজনে ওই সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ওই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ উপস্থিত থাকবেন। মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন এবং সভাপতিত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
দিনব্যাপী এই সংলাপে তিনটি সমান্তরাল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে, যেমন ইকুইটেবল এক্সেস টু বেসিক সার্ভিসেস ফর রেজিলিয়েন্ট আরবান কমিউনিটি, ক্লাইমেট স্মার্ট ন্যাচার বেজড সলিউশনসঃ এমপাওয়ারিং লাইভস এন্ড এনহানসিং রেজিলিয়েন্স এ গ্রিণ এপ্রোচ এবং প্রাইভেট স্টেও ইন রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট।
৮ম নগর সংলাপের বিভিন্ন অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। বিভিন্ন দিক থেকে এবারের নগর সংলাপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ- ২০২৫ সালে চলতি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং ২০২৬ সাল থেকে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। যার লক্ষ্য হবে এলডিসি পরবর্তী জাতীয় উন্নয়ন বিশেষ করে নগরভিত্তিক উন্নয়নের জন্য একটি সময়োপযোগী পথনকশা এবং বিনিয়োগ কাঠামো প্রদান করা। এবছর নবম পঞ্চবার্ষিক বিভিন্ন আলোচনা ও পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে, নগর সংলাপের ঘোষণা এসব আলোচনায় উপস্থাপন করা হবে।
আয়োজকরা জানান, জনঅংশগ্রহণের ভিত্তিতে সাম্য এবং ন্যায্যতাভিত্তিক পরিবেশবান্ধব ও স্থায়ীত্বশীল নগর উন্নয়নের জন্য বাস্তবভিত্তিক অন্তর্ভূক্তমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন এলডিসি উত্তর বাংলাদেশে একটি অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা। যেখানে উন্নয়নে প্রযুক্তি এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিপূল কর্মসংস্থান একটি অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। যেখানে একাডেমিয়া, সিভিল সোসাইটি এবং প্রাইভেট সেক্টর যৌথভাবে কাজ করবে। এবং সরকার সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
আয়োজকরা আরো জানান, নগর সংলাপে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন সেশন থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাবনাসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার মাধ্যমে নগর উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর বিবেচনায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, আরবান আইএনজিও ফোরাম বাংলাদেশ, ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম, যা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফোরামের উদ্দেশ্য হলো নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং অনানুষ্ঠানিক বসতিতে নিম্ন-আয় সম্প্রদায়ের টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে আরবান ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
সালাউদ্দিন/সাএ