গণআন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
রোববার (১১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। লোডশেডিং ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের বাসভবনে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন>> পুরোনো ফরম্যাটেই নির্বাচনকালীন সরকার!
আযম খান বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য আন্দোলন করছি। আজ নব্য স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। কারণ এ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো খেতে পারছে না। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ ভালোমন্দ খেতে পারছে না। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। অতএব এ সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তারা আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই সুযোগ দেশের মানুষ আর দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
এসময় তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের বাসভবনে সন্ত্রাসীদের অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আরও পড়ুন>> তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল আহমেদ, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মঞ্জুর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম আহমেদ খান মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক এম কাদির নোমান, সহ-সভাপতি আবু ইউনুস, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সাংস্কৃতিক দলের নেতা বেলাল আহমেদ সংগ্রাম, ওলামা দলের নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/ইএ/জিকেএস