দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া, অবশ্যই যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য গর্বের বিষয়। লিটন দাস এবারই প্রথম টেস্টে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তার অনুভূতি কেমন?
উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার মনে করছেন, টেস্ট খেলতে পারাটাই অনেক বড় কিছু। তবে অনুভূতি বা বিশেষ কোনো চিন্তা এখনই বলতে পারছেন না তিনি। লিটন অনুভূতিটা ‘জমা’ রেখেছেন টসের সময়ের জন্য।
টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব বিশেষ কিছু কিনা? এমন প্রশ্নে টাইগার দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘বিশেষ কিছু না। এটা তো অবশ্য একটা ভালো লাগার ব্যাপার কাজ করে। টেস্ট ক্রিকেটকে সবাই প্রধান্য দেয়। টেস্ট ক্রিকেটার হওয়াটাই অনেক বড় বিষয়। তার মধ্যে দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করা এটা তো অবশ্যই গর্বের বিষয়।’
সেই গর্বের অনুভূতি কেমন? লিটন জানালেন, ‘এভাবে কখনো চিন্তা করা হয়নি আসলে। দেখা যাক টস করতে গেলে অনুভূতিটা যদি ওভাবে আসে, তাহলে আসতেই পারে।’
এর আগে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি হিসেবে টেস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার অধিনায়ক হিসেবে মাঠ সামলাতে হবে। লিটন মনে করছেন না, এটা আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ।
তার কথা, ‘এরকম কোনো কিছুই ছিল না। আপনি যদি ভাইস ক্যাপ্টেনসি করবেন এমনও হয়েছে যে সাকিব ভাই মাঠের বাইরে গেছেন, তখন আমাকে ১-২ ওভার হলেও অধিনায়কত্ব করতে হয়েছে। এটা নিয়ে তাই চিন্তা হয়নি।’
লিটন আরও বলেন, ‘এটা তো আমি সবসময় করছি, অমন চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না। হ্যাঁ, একটা জিনিস বাড়তি, যেটা হচ্ছে মাঠে থাকলে মাঠ চালাতে হবে। এমন না যে এটাই আমার প্রথম, আমি করেছি আগে। এখন নামের প্রেক্ষাপটে চলে আসে ‘ক্যাপ্টেন’ বিষয়টা। এমনিতেও অনেক সাহায্য করি যখন উইকেটের পেছনে থাকি। তো এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়।’
অধিনায়ক হিসেবে কি লক্ষ্য থাকবে? প্রতিপক্ষ যখন অপেক্ষাকৃত দুর্বল, জিততেই হবে-এমন তাড়না আছে কি? লিটনের জবাব, ‘দল যখন খেলে, এমন কি হয় যে জিততেই হবে, না জিতলে মান সম্মান চলে যাবে এমন কিছু? এর ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। যে কোনো দলের বিপক্ষেই আপনি জেতার জন্যই যাবেন। ফলাফল হয়তো সবসময় আপনার হাতে আসবে না।’
এমএমআর/এমএস