এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ দল। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে আজও ওপেনিংয়ে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মিরাজ আজ আর নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যান এই অলরাউন্ডার।
পাক পেসার নাসিমের লেগ স্টাম্পের উপরে আলগা বলে লোপ্পা ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। ওখানে ফিল্ডার ফখর সহজেই বল তালুবন্দি করেন। এমন বল স্রেফ বাউন্ডারিতে যায় সেখানে মিরাজ ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভার ছিল মেডেন। এবার মিরাজ শুরুতেই আউট হলেন।
মিরাজের বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসেন শান্তর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া লিটন দাস। লিটন ম্যাঠে নেমে শুরুটাও ভালোই করেন। বাউন্ডারিতে দারুণ শুরুর আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত আফ্রিদিকে উইকেট বিলিয়ে আসেন লিটন। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব আ লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। ব্যাটে কানায় লেগে ক্যাচ গেছে রিজওয়ানের কাছে। লিটন ও নাঈমের জুটি বাউন্ডারিতে সওয়ার হয়েছিল, লিটনের উইকেটে ছন্দপতন। ১৩ বলে ১৬ রান লিটনের।
তবে গোল্ডেন ডাক খেয়ে মিরাজ ফেরার পরও একও প্রান্তে অবিচল ছিলেন নাঈম। শুরুতে একটু শেইকি মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন। খেলেছেন দারুণ কিছু শটও। কিন্তু আরও একবার ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। হাঁটলেন মিরাজ-লিটনের পথেই। অস্টম ওভারের তৃতীয় বলটি খাটো লেন্থে করেছিলেন রউফ, সেখানে পুল করতে গিয়ে বল সোজা উপরে ওঠে যায়, তাতে বোলার নিজেই তালুবন্দি করেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ২০ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এছাড়া এবার সুপার ফোরে এসে ব্যর্থ হৃদয় । ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুকছে তখন উইকেটে আসেন হৃদয়। এমন সময় তার কাছে প্রত্যাশিত ছিল লম্বা ইনিংস। তবে ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। রউফের বলে বোল্ড হয়ে উল্টো দলকে আরও বিপদে ফেলেছেন। তাতে দলীয় অর্ধশতকের আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান। ব্যাট করছেন সাকিব (৯), মুশফিক (৪)।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। বেসরকারি চ্যানেল গাজী টিভি এবং টি-স্পোর্টসের পর্দায় দেখা যাচ্ছে এশিয়া কাপের লড়াই। এছাড়া ভারতের স্টার স্পোর্টস-১, স্টার স্পোর্টস-১ এইচডির পর্দায়ও দেখা যাবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশ একাদশ
নাইম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), শামিম হোসেন, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তানের একাদশ
ফখর জামান, ইমাম উল হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।
বাঁধন/সিইচা/সাএ