Bangal Press
ঢাকাThursday , 30 November 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘পূর্বধলায় ২০০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে’

ডেস্ক রিপোর্ট
November 30, 2023 2:23 pm
Link Copied!

সাকিব আবদুল্লাহ, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) থেকে: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ২০০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ওই মন্তব্য করেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন সামনের জাতীয় নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এর আগে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তিনি। এই আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
মতবিনিময় সভায় আনোয়ার হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে দুইদিনের বৃষ্টিতে পূর্বধলার ধান ডুবে গেল। কারণ খাল ও নালার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হতে পারে নাই। এগুলো ঠিক করার জন্য অনেক টাকা এসেছে। কিন্তু চুরি হয়ে গেছে, কিছু হয় নাই। এই সমস্যাগুলোর জন্য দুইশো কোটি টাকা এসেছিল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সৎ এবং সাহসী মানুষ প্রয়োজন।
এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, যদি সবকিছু পরিশুদ্ধ থাকত তাহলে আমার নির্বাচন করার প্রয়োজন ছিল না। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যে অসাম্প্রদায়িক ছিল, সেই আওয়ামী লীগ কী আছে? সমতা কতটুকু আছে? দুর্নীতিমুক্ত সমাজ কতটুকু আছে? আমি প্রকৃত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। নির্বাচনে জিতি বা হেরে যাই, আমি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবেই এসেছি।
 
তিনি বলেন, পূর্বধলাবাসীরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারেন যে ড. আনোয়ার হোসেন এখানে আছেন। নৌকা পাইনি তবু আছি। শুধু আমাদের গণমাধ্যম নয়, বাইরের দেশের গণমাধ্যমেরও দৃষ্টি থাকবে এখানে। পেশিশক্তি দিয়ে পরাজিত করা যাবে না। আমার ওপর আঘাত আসলে আসুক। আমি যদি মৃত্যুবরণ করি, তাহলে যদি এখানে জাগরণ হয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের সুসময়ে আমি ছিলাম না কিন্তু দু:সময়ে সবসময় ছিলাম এবং আছি। ১\১১ এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা কোথায় ছিলেন? একজন আনোয়ার হোসেন দাঁড়িয়েছিলেন, বাকি সব তো সংস্কারবাদী হয়ে গেছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চ যখন হয়, তখন সেখানে জয় বাংলা বলা যেত কিন্তু জয় বঙ্গবন্ধু বলা যেত না। আমিই প্রথম সেখানে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু একসঙ্গে উচ্চারণ করি। ওই মঞ্চে তোফায়েল আহমেদসহ অনেক নেতাই বক্তৃতা করেছেন, কেউই জয় বঙ্গবন্ধু বলেন নাই। বুঝতে হবে, আমি তো নেত্রীর নজরে এমনি এমনি পড়ি নাই।
নৌকার কর্মী বা সমর্থকরা কেন আনোয়ার হোসেনকে ভোট দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই বেলালের ( পূর্বধলার বর্তমান সংসদ সদস্য) রাজনৈতিক কর্মী যারা ছিল, তাদের সমর্থন আমি পেয়েছি। তবে নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের হতাশা আছে। তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে না। গত দুই নির্বাচন নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে চায়। আমার সবচেয়ে বড় ভরসা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 
সভা শেষে আনোয়ার হোসেনের হাতে স্মারক তুলে দেন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

শাকিল/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।