সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় সন্তানের চিকিৎসার জন্য কবিরাজের কাছে নেওয়ার নামে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০ দিন আগে দুদু মিয়ার সঙ্গে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারীর পরিচয় হয়। সে সুবাদে দুদু মিয়ার সঙ্গে তার প্রায় ফোনে কথা হতো। ওই নারীর ৯ মাসের মেয়ে অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবেন বলে জানান।
চিকিৎসার নামে রোববার বিকেল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজারে গিয়ে দুদু মিয়া সন্তানসহ বাড়ি থেকে ওই নারীকে নিয়ে যান। কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে দুদু মিয়া কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই নারীকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুদু মিয়া ফোন করে তার সহযোগী আব্দুল করিম বীরদল বাজারে চলে আসেন এবং তারা ওই নারীকে কৌশলে মোটরসাইকেলযোগে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে যান।
স্থানীয় কিছু লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করেন। রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট বাজারে নিরাপদে নেওয়ার জন্য নারীকে জুবের আহমদের রিকশায় তুলে দেন। এ সময় পিছু নেন দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম।
এক পর্যায় পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে হেলাল ও ফরহাদ রিকশার গতিরোধ করেন এবং ওই নারীকে পুরানফৌদ গ্রামের হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে নিয়ে যান। সেখানে হেলাল ও ফরহাদ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এতে নারীর প্রচুর রক্তপাত হয়। নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। ওই নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশ পাহারায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, ধর্ষণে সরাসরি জড়িত হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেফতার অন্যরা ধর্ষণে সহায়তায় জড়িত। গ্রেফতারদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এসজে/এমএস