বরগুনার তালতলী উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর এক গৃহবধূর (১৯) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ছোটবগী এলাকার নকরি সড়কের পাশের জঙ্গল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গৃহবধূর বাড়ি তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়ার গেন্ডামাড়া গ্রামে। নিহতের চাচা বাদশা ফকির প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ,তার ভাতিজিকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, এক বছর হয় সুখীর বিয়ে হয়েছে।স্বামী হাসান সর্দার সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পড়ে, বুধবার ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পরে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চারদিকে খোঁজ খুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক নারী নকড়ি সড়কের পাশে তার লাশ দেখতে পায়। এ সময় লাশের গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম খান জানান,লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে, ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাবে না।
অপরদিকে আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শর্ষি বাজার খাল থেকে জাহিদুল (২২) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাহিদুলের বাড়িও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান,জাহিদুল সহ ১০ জন শীত মৌসুমে ঘুরে ঘুরে লেপ-তোশক তৈরি করে বিক্রি করে।
সালাউদ্দিন/সাএ