সিরাজগঞ্জের কামারখন্দেহেরোইন রাখার দায়ে সাবিনা খাতুন (৩৭) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই মামলায় সাবিনা খাতুনকে চোলাই মদ রাখার দায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং গাঁজা রাখার দায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাবিনা খাতুন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল উত্তরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম সরকারের স্ত্রী। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রফার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর বিকেলে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল উত্তরপাড়া গ্রামের সাবিনা খাতুনের বাড়িতে হেরোইন, গাঁজা ও চোলাই মদ ক্রয়—বিক্রয় হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব—১২ সদস্যরা। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক বিক্রেতা সাবিনা খাতুন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় সাবিনার বাড়ি থেকে ৪৮ গ্রাম হেরোইন, ১.৮ কেজি গাঁজা ও ১৪ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব—১২’র ডিএডি প্রদীপ কুমার সাহা বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় সাবিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে সাবিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। মামলা চলাকালে ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য—প্রমাণ শেষে রবিবার সকালে সাবিনা খাতুনের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক সাবিনা খাতুনকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। বিকেলে আসামি সাবিনাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি এ্যাড. আব্দুর রহমান এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।
শাকিল/সাএ