নতুন কারিকুলাম ও এর মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে একজন অতিরিক্ত সচিব প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ কমিটি কারিকুলাম, পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন সমন্বয়ে কাজ করবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-এনসিটিবির প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা এ কমিটির সদস্য হবেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহবিুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সভায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তা, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর এবং সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে সভায় আজ শিক্ষামন্ত্রী কী নির্দেশনা দিয়েছেন, তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সঙ্গে ক্যাম্পাসনিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে বৈঠকে অংশ নেওয়া দুজন কর্মকর্তা ক্যাম্পাসনিউজকে জানান, পাঠ্যপুস্তকে একের পর এক অসঙ্গতি উঠে আসায় তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী। ভুলগুলো গণমাধ্যমে আসার আগে নিজেরা কেন বের করা সম্ভব হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়া নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন নিয়ে যেসব জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন শিক্ষকরা, সেগুলো কীভাবে আরও সহজ এবং সাবলীল করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।
জানা গেছে, নতুন কারিকুলামের বইয়ের ভুল-ত্রুটি, অসঙ্গতি নিয়ে নানান সমালোচনা চলছে। পাশাপাশি মূল্যায়ন পদ্ধতির জটিলতার কারণে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে উপমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া তরুণ মন্ত্রী মহিবুল হাসান শুরু থেকেই তৎপরতার সঙ্গে সংকট নিরসনে কাজ করছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক কমিটিও করে দিয়েছেন মন্ত্রী।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস