গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় খেলা ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। নড়াইলে উৎসবমুখর পরিবেশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের বিল ডুমুরতলায় তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলার শেষদিন (৩ ফেব্রুয়ারী) বিকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক থেকে দেড়শ বছর আগে থেকে ডুমুরতলা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য বছর পাঁচ দিনব্যাপী মেলা হলেও এ বছর তিন দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় ঘোড়দৌড়, জারি ও কবি গানের আয়োজন করা হয়েছিল। মেলার প্রথম দিনে ঘোড়দৌড় হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে পরিবর্তন হয়ে তৃতীয় দিনে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় শিশুদের নাগরদোলা থেকে শুরু করে নানা পণ্য সামগ্রী ও খাবারের দোকান বসতে দেখা যায়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।
মেলা দেখতে আসা সাহেব মোল্যা বলেন, আমি নড়াইলের উত্তর প্রান্ত থেকে ঘোড়াদৌড়ের মেলা দেখতে আসছি। ঘোড়াদৌড় দেখে আমি খুবই আনন্দিত। মেলায় এসে খুবই ভালো লাগছে।
মো. রকিবুল শেখ বলেন, ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় আগে অনেক হত। এখন বেশি হয় না। এখানে (ডুমুরতলায়) দীর্ঘদিন যাবত হচ্ছে জানতে পেরে আমরা অনেক দূর থেকে ঘোড়া দাবড় দেখতে আসছি।
বাচ্চা কোলে নিয়ে মেলা দেখতে আসা এক নারী বলেন, এখানে প্রতিবারই মেলা হয়। অনেক আনন্দ লাগে, ভালো লাগে। বাচ্চাদের নিয়ে আসি এই আনন্দ উপভোগ করার জন্য।
মেলার ব্যাপারে হবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. টিপু সুলতান বলেন, প্রায় এক থেকে দেড়শ বছর আগে থেকে এখানে মেলা হয়। এটা গ্রাম বাংলার একটা ঐতিহ্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটা অংশ। গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এখানে প্রতিবছর এরকম ঘোড়দৌড়, জারি গান, কুস্তি ধরা প্রতিযোগিতা হয়। এ মেলা আগে হতো পাঁচ দিনব্যাপী সেখান থেকে কমে এখন হচ্ছে তিন দিন হচ্ছে।
শাকিল/সাএ