শাসন করায় ঠাকুরগাঁওয়ে নামাজে সেজদারত অবস্থায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন চাচা আলীম উদ্দীন ওরফে বীণা (৫১)। এ ঘটনায় ঘাতক ভাতিজা ইউনুস আলী (২২) কে আটক করেছে পুলিশ ও আহত চাচাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।
রোববার জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের ঠনঠনিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয় ভুক্তোভোগীর পরিবার থেকে। এঘটনায় ভাতিজা ইউনুস আলীকে আটকের পর গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের নেওয়া হয়।
আহত আলীম উদ্দীন ওরফে বীণা আমজানখোর ইউনিয়নের ঠনঠনিয়া পাড়া গ্রামের মৃত দবির উদ্দীনের ছেলে। ঘাতক ইউনুস আলী তার ভাই সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আকালু ওরফে ডঙ্গা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, রোববার দুপুরে বাড়ীর পাশে মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় করছিলেন আলিম উদ্দীন। আলিম উদ্দীন নামাজে সেজদারত অবস্থায় ভাতিজা ইউনুস এসে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আলিম উদ্দীনের মাথায়, হাতে ও পায়ে কোপ মারে। এতে গুরুতর যখম হন তিনি।
মসজিদের অন্যান্য মুসল্লিরা পরিবারকে খবর দিলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং সবশেষ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আলিম উদ্দীনকে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি।
চেয়ারম্যান আরও জানান, জমিজমার বিষয় নিয়ে ইউসুফ মাঝে মধ্যেই তার বাবা মার সাথে উচ্চবাচ্য ও মারধর করতো। চাচা আলীম উদ্দীন তাকে এসব নিয়ে শাসন করার কারণেই সে এমনটা ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি (তদন্ত) মামুন অর রশিদ জানান, ঘটনার পর ঘাতক ভাতিজাকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
