মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছিলেন যুবক। সরকারি কর্মকর্তা জামাই পেয়ে আদর-আপ্যায়নেও কমতি রাখেনি শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু নিজেকে পুলিশের কর্মকর্তা জাহির করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা খেলেন যুবক।
স্থানীয়রা তাকে আটক করে থানায় খবর দিলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওমর ফারুক রাজু সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর যাচাই শেষে স্থানীয়দের নিশ্চিত করেন তিনি একজন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই প্রতারকের নাম মনির মিয়া। তিনি পেশায় পিকআপ ভ্যানচালক। তবে পরিচয় দেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। অভিযুক্ত এই যুবকের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার হিরণপুরের মাতাঙ্গ গ্রামে। তিনি ওই এলাকার প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে। প্রতারণার শিকার ওই নারীর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীর ভূলসোমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনির নামে ওই যুবক গত রোববার রাতে শ্বশুরবাড়ির পাশেই মোড়ে একটি দোকানে বসেন। এলাকার নতুন জামাই হিসেবে স্থানীয়রা তার সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করেন। তখন তিনি নিজেকে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দাবি করেন। শুধু তা-ই নয়, পুলিশের পোশাক পরা ছবি, ভিজিটিং ও আইডি কার্ডও দেখান। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হলে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অপরাধে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
ওসি আরও বলেন, মনির নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় ছিনতাই ও হত্যা, ২০২২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অজ্ঞান করে লুট এবং ২০২৩ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন শাহআলী থানায় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মামলা রয়েছে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ