নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে একই উপজেলার সিঁধ কেটে মা-মেয়ে গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার ভুক্তভোগী গৃহবধূর বরাত দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। এর আগে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।নির্যাতিত গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)।
স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। সে ৩-৪দিন পর পর বাড়িতে আসে। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাহিরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে এ সুযোগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে তার বসত ঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তিন ধর্ষক। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে দুই ধর্ষক ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে এক ধর্ষক।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাদের মধ্যে দুইজনকে চেনেন এবং তারা হলেন মুন্সী মেম্বার ও গরু ব্যাপারী হারুন।
ভিকটিমের ওই নারীর স্বামী (৪২)জানান, রাতে অন্যত্র কাজে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না। গভীর রাতে তিনজনের সংঘবদ্ধ দল সিঁদকেটে ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে ধর্ষণ করে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তারা মা ও মেয়ে নাকফুল-কানের দুলসহ নগদ সোয়া ১৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়
এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম জানান,কিছু দিন আগে নির্যাতিত গৃহবধূ নতুন এ বাড়িতে উঠে। ওই বাড়িতে সিঁধ কেটে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ভিকটিমরা।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।ভিকটিম গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ