Bangal Press
ঢাকাTuesday , 6 February 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘটনাস্থলে না থেকেও হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে ব্যবসায়ী

Link Copied!

কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায় একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও মোঃ মেহেদী (২৪) নামের এক ব্যবসায়ীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার জেলহাজতে রয়েছেন। মেহেদী কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত ফারুক আহমদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে শহরের সমিতি পাড়ায় ‘চায়ের বিল’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন মোঃ আলাউদ্দিন (১৫) নামের এক কিশোর। ওই ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ ইমরান বাদী হয়ে শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯/৭৫।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে সমিতি পাড়ায় একটি চায়ের দোকানের পাশে মারধর করে নির্মমভাবে খুন করা হয় মোঃ আলাউদ্দিনকে। হত্যার ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয় রাত ১টা থেকে ২টায়। মামলায় তিন নাম্বার আসামি করা হয় মোঃ মেহেদীকে। 
ঘটনার দিন রাতের হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কক্সবাজার শহরে মেহেদীর পরিচালনাধীন ‘হোটেল সী ওয়েস্টারে’ রাত ৯টার দিকে প্রবেশ করছেন তিনি। সারাদিনের হিসেব-নিকেশ শেষ করে রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে হোটেলটির স্টাফ কোয়াটারে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। 
মোঃ মেহেদীর বড় বোন আতিকা অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই হোটেল মোটেল জোনের লাইট হাউস রোডে সী ওয়েস্টার নামের একটি হোটেলে ৫টি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ব্যাবসা করে। ওইদিন রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। প্রতিদিনের মত সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার ভাই তার মোবাইলে দেখতে পান স্থানীয় একটি পত্রিকায় তাকে খুনি বানিয়ে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ তিনি ওইরাতে হোটেলে ঘুমিয়ে থাকার পরও তাকে খুনি বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন। ওইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে আটক করে নিয়ে যায় র‍্যাব। পরে হত্যা মামলাটিতে তাকে তিন নাম্বার আসামি করা হয়।
আতিকার দাবি, মামলার এজাহারে মোঃ আলাউদ্দিন হত্যার যেই সময়টা উল্লেখ করা হয়েছে সে সময়ে তিনি এলাকায় ছিলেন না। ঘটনার পরদিন রাতে র‍্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়ে কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করে মামলায় তাকে তিন আসামি করা হয়েছে।
সী ওয়েস্টার হোটেলের দারোয়ান মোঃ সালাম বলেন, রাত ৯ টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত আমি আর মেহেদী  একসাথে হোটেলে ছিলাম। আলাউদ্দিন হত্যার যে সময়টা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়ে মেহেদী হোটেলের নীচের একটি রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। যার সিসি টিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। 
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, কোন একটা মার্ডার হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক বাদীর এজাহার অনুযায়ী মামলা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে এজাহারে উল্লিখিত কেউ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলে তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হবে। 
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মেহেদী এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। ঘটনার সময় তার এলাকায় ছিলেন না। এভাবে তাকে মামলায় জড়ানো উচিত হয়নি। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, এজাহারে উল্লিখিত আসামীরা বিভিন্ন সময় হুমায়রা আক্তারের দোকানে চা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। টাকা চাইলে উলটো হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা থেকে ২টার দিকে পাওনা টাকা চাইলে উত্তেজিত হয়ে যায়। উভয় পক্ষে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাশের চা দোকানদার  হুমাইরা আক্তার (২৫) ও তার মা নুরুজ্জাহান বেগম ঘটনা শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের মারধর করা হয়। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে মোঃ আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও উপর্যুপরি মারধর করা হয়। মারের আঘাতে তাৎক্ষণিক আলাউদ্দিন মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসাপাতালে ভর্তি করানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 
এজাহারে অভিযুক্তরা হলেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে ফজল করিম (৩০), পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়ার  আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ মুমিন (২৩), মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত ফারুক আহমেদের ছেলে মোঃ মেহেদী (২৪) ও একই এলাকার মোঃ নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবুল হাসান।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় বাদীর এজাহারে উল্লিখিত আসামীদেরকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। তবে অফিসার ইনচার্জ চাইলে তদন্ত করেও তারপর মামলা অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
 



শাকিল/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।