রেল সেতুতে উঠে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটছিলেন এক তরুণী। এ সময় তার দিকে ছুটে আসছিল একটি ট্রেন। ট্রেন আসতে দেখে পেছনে থেকে স্টেশনের যাত্রীরা তাকে সরে যেতে ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু সেদিকে কোনো খেয়ালই ছিল না সেই তরুণীর। কানে ইয়ারফোন থাকার কারণে কারও চিৎকারও শুনছিলেন না।
এমন অবস্থায় হঠাৎ ট্রেনটি চোখে পড়ে তার। উল্টো দিকে ফিরে দৌঁড়াতে শুরু করেন তরুণী। মাত্র কয়েক হাত দূরত্বে প্রাণ বেঁচে যায় তার। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল রেল সেতুতে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সায়েম হাসান সনি জানান, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশন থেকে আনুমানিক ২২ বছর বয়সী এক তরুণী হাতে মোবাইল ফোন ও কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রেল সেতুতে ওঠেন। পরে সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতুর মাঝামাঝি চলে আসে। এ সময় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে প্রায় তিন হাত দূরে ছিলেন ওই তরুণী।
সনি আরও বলেন, ‘তরুণীর পেছনের দিকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। ট্রেনটি আসতে দেখে তাকে সরে যেতে বলছিলাম। কিন্তু হাতে মোবাইল ফোন ও কানে ইয়ারফোন থাকায় আমাদের কথা শুনতে পাননি তিনি। তবে ঘোড়াশাল স্টেশনে ট্রেনটির স্টপেজ থাকায় গতি কমিয়ে দেয়। পরে তিনি ট্রেনের ইঞ্জিনের শব্দ শুনে দৌড়ে চলে আসেন। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যায় তরুণীর জীবন।’
জানতে চাইলে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ বলেন, ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না তিনি। তবে ঘটনার সময় কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আল আমিন জানান, ট্রেনটি সেতুর ওপর গতি কমিয়ে দেওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ওই নারী।
রার/সা.এ