জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারিতে সালেহ আহমেদ (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলার রায়ে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মামলার ১৫ বছর পর জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ মোঃ আব্বাস উদ্দীন জনাকীর্ণ আদালতে আজ বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড : নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হচ্ছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর চকপাড়া এলাকার আরিফুল প্রাং (৫২), আবু নাসের প্রাং (৪২), ডাঃ মোঃ শাজাহান আলী (৭০), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাদিউজ্জামান প্রাং (৮০), আশরাফ আলী (৭৫), মোহাম্মদ আলী ওরফে লাল মোহাম্মদ (৬০), মোহাম্মদ আলী প্রাং (৫৫), জহির প্রাং (৫৬), শামসুল আলম (৫৪), সায়েম উদ্দিন প্রাং (৫০), ওবাইদিল প্রাং (৫৫), সাইম প্রাং (৫০), রহিম প্রাং (৫৭), আবু সাঈদ প্রাং (৪৬), আবু বকর প্রাং (৫৬), বানু বেগম (৫৫) ও সাহেরা বেগম (৫০)। এছাড়া প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি আশরাফ আলী প্রাং ও আবু সাঈদ প্রাং আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুরের চকপাড়া এলাকায় জমিজমা নিয়ে সালেহ আহমেদের সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮ টায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাসুয়া, বটি, রামদা, ফালা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সালেহ আহমেদের উপর হামলা করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সালেহ আহমেদ। এ ঘটনায় ছোট ভাই আজিজুল হক প্রাং বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মমিনুল হক ২০০৯ সালের ২৪ জুন ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর আজ বুধবার দুপুরে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়ে ১৫ বছর পর এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌসলি এ্যাড : নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও এ্যাডঃ উদয় সিং এপিপি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড : এমএম আশফাকুল আলম ও এ্যাড : নন্দকিশোর আগরওয়ালা। পলাতক দুই আসামি আশরাফ আলী প্রাং ও আবু সাঈদ প্রাং এর পক্ষে স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ার ছিলেন এ্যাড : হেনা কবির।
শাকিল/সাএ