বরগুনার আমতলীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসিন মোল্লা কমিটির রেজুলেশন ও টেন্ডার ছাড়াই দাঁড়িয়ে থেকে গাছ কাটালেও তিনি গাছ কাটার কথা অস্বীকার করেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন আমতলী উপজেলার হলদিয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসিন মোল্লা স্থানীয় লেবার দিয়ে কাছ কাটাচ্ছেন।এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার হলদিয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চারপাশে নানাবিধ গাছ থাকলেও ওই গাছের মধ্যে দু’টি বৃহৎ চাম্বল গাছ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধধমহসিন মোল্লা কমিটির রেজুলেশন ও টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলেছেন। স্থানীয়রা বলেন গাছ দু’টির মূল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা। অনেক বছরের পুরাতন গাছ কেটে ফেলায় এলাকাবাসী, অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন বলে জানান।ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান শিক্ষক মহসিন মোল্লার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২১ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে দুই বৃহৎ চাম্বল গাছ দুটি কেটে ফেলে রেখেছেন। কাটা অবস্থায় গাছের গোড়া ও গাছ পড়ে আছে।
গাছ কাটার বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মহসিন মোল্লা বলেন, গাছ ঠিকাদার কাটাচ্ছেন কিন্তু বিষয়টি সভাপতি, সহকারী শিক্ষা অফিসার, এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলীও জানে। টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটা যায় কি-না জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন,কমিটির অনুমোদন ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই প্রধান শিক্ষক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন,কমিটির রেজুলেশন অথবা টেন্ডার ছাড়া কোন ক্রমেই বিদ্যালয়ের সরকারী গাছ কাটা যাবে না। বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তারেক হাসান বলেন,বিষয়টি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাকিল/সাএ