জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জ্বল (ঘোড়া) ৪১ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন কোতোয়াল পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬৭ ভোট। এদিকে, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর আপন চাচাতো ভাই সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৭ভোট।
জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী ৪৭ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম আমিনুল ইসলাম রতন পেয়েছে ৩৩ হাজার ১৫৩ ভোট। এছাড়া আনারস প্রতীকে নান্নু মিয়া ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট, দোয়াত কলম প্রতীকে মোহাম্মদ সামছুল হক খান ৬৫৫ ভোট এবং কাপ পিরিচ প্রতীকে মো: মোশারফ হোসেন ৭৮৯ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে মহব্বত খান ৪১ হাজার ৭৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৯৭ ভোট। এছাড়া মো: নজরুল ইসলাম খান তালা প্রতীকে ৮ হাজার ৭০৩ ভোট এবং নুর মোহাম্মদ উড়োজাহাজ প্রতীকে ৪ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেখা আক্তার ফুটবল প্রতীকে ৩৩ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পারভীন আক্তার পদ্ম ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫০৭ ভোট। এছাড়া নাসরিন আক্তার হাঁস প্রতীকে ১৮ হাজার ৯৩১ ভোট এবং জাহানারা খানম কলস প্রতীকে ৪ হাজার ৯৩৮ ভোট পেয়েছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৮০ জন। ৬৫টি কেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৮৬ হাজার ১২৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। মোট ভোট পড়েছে ৪৮.৩৩ শতাংশ। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শরীয়তপুর জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, শরীয়তপুরের সদর ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
শাকিল/সাএ