যশোরে সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস উল্টে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (২৭ মে) সকালে যশোর-নড়াইল মহাসড়কের তারাগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের মধ্যে একজন ওই বাসের সুপারভাইজার। তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। আরেকজন হাশেম আলী (৪০) নামে বাসের যাত্রী। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আছান আলীর ছেলে।
ওই বাসের এক যাত্রী জানান, আহতরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রামের রাউজানের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
বাসের আরেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ৪০ জন চট্টগ্রামের রাউজান থেকে রোববার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস রিজার্ভ করে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে যাচ্ছিলাম। গোপালগঞ্জ আসার পর বাসের চালক ঘুমাতে চলে যায়। এ সময় তিনি বাসের হেলপারের কাছে গাড়ি চালাতে দেন। বৃষ্টির মধ্যে বাসের হেলপার বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-নড়াইল সড়কের তারাগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় বাসের সুপারভাইজার ও একজন শ্রমিক নিহত হন। আহত আরও ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক মনির আহমদ।
এ দিকে নিহত হাশেম আলীর খালাতো ভাই মফিজুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা ৪০ জন ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। ৮ মাস পর বাস রিজার্ভ করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় খালাতো ভাই হাশেম আলী ও বাসের সুপারভাইজার নিহত হয়েছেন। আমরা বাড়ি ফিরলেও আমার ভাই লাশ হয়ে ফিরবেন ভাবতেই পারছি না।’
এ বিষয়ে উপপরিদর্শক মনির আহমদ বলেন, ‘সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-নড়াইল মহাসড়কের তারাগঞ্জ এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।’
বাঁধন/সিইচা/সাএ