Bangal Press
ঢাকাWednesday , 30 August 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে দুই বিভাগের রশি টানাটানি

Link Copied!

আট বছর আগে রংপুর নগরীতে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হলেও সরেনি বিদ্যুতের খুঁটি।  নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে থাকা এসব খুঁটি এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ (নেসকো) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের রশি টানাটানির কারণে ঝুলে আছে খুঁটি সরানোর কাজ। শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী এ নিয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে নগরীর চার লেন সড়কের কাজ শেষ হয়। এ সময় প্রায় ১৬ কিলোমিটার চার লেন সড়কের অধিকাংশ স্থান থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়। কিন্তু নগরীর লালবাগ থেকে খামার মোড় নেসকো বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ছোটবড় ১৮টি  খুঁটি সরছে না। ওই সড়কের ভেতরে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয়  বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, লালবাগ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির পাশ দিয়ে কারমাইকেল কলেজ, কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা  চলাচল করেন। এছাড়া সপ্তাহে দুদিন লালবাগ হাট বসে। সড়ক প্রশস্তকরণ হলেও বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সরছে না। আট বছরের বেশি সময় ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
 রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, লালবাগ এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কের ভেতর কয়েকটি খুঁটি থাকায় রিকশা চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝেমধ্যে এই খুঁটিতে রিকশা ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে খুঁটি সরানো দরকার।
কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী কাশ্মীরি জেরিন বলেন, খামার মোড় ও লালবাগ এলাকায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা এই পথ দিয়ে চলাচল করেন। খুঁটিগুলো সড়কে থাকার কারণে চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রায় সময় এই খুঁটিতে স্পার্ক হয়ে থাকে। তখন ভয়ে ছোটাছুটি করতে হয়। এতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী বলেন, নগরীর মধ্যে এই চার লেন সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। তারা এই সড়কের তত্ত্বাবধান করে। এখানে সিটি করপোরেশনের কোনো দায়িত্ব নেই। তারপরও একাধিকবার নেসকো ও সওজ বিভাগকে খুঁটি সরানোর কথা বলা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের বাড়ি ওই এলাকায়। তিনি নিজেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার তাগিদ দিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান  বলেন, নেসকো একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তারা আমাদের জমি ব্যবহার করলেও কোনো ভাড়া দেয় না। উপরন্তু জনস্বার্থে খুঁটিখুলো সরানোর কথা বললে তারা টাকা দাবি করেন।
সাজেদুর রহমান আরও বলেন,  ২০২১ সালে একটি মহাসড়ক আইন প্রণয়ন হয়েছে। সে অনুযায়ী আমাদের জায়গায় কেউ বৈদ্যুতিক লাইন বা অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করলে তা সরানোর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে না সওজ।
সাজেদুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে খুঁটিগুলো রয়েছে। এ নিয়ে অনেকবার চিঠি বিনিময় হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিক হলে খুঁটি সরানো সম্ভব।
নেসকো রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসনাত জামান  বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ দরকার। এ নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে বসে কে কতটুকু কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



এমআর/বা.স.

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।